, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ , ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ম্যাচ হেরে খেলোয়াড়রা করছিলেন মারামারি, কোচ ভেবেছিলেন ধন্যবাদ জানাচ্ছেন

  • আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৪ ০৪:১৫:৪৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৪ ০৪:১৫:৪৮ অপরাহ্ন
ম্যাচ হেরে খেলোয়াড়রা করছিলেন মারামারি, কোচ ভেবেছিলেন ধন্যবাদ জানাচ্ছেন
আর্জেন্টিনার পর এবারের কোপা আমেরিকার সবচেয়ে বড় দাবিদার মনে করা হচ্ছিল উরুগুয়েকে। সেই উরুগুয়েকে হারিয়ে এবারের আসরের ফাইনালে উঠেছে কলম্বিয়া। ফাইনালে লিওনেল মেসির দলের মোকাবেলা করবে হামেস রদ্রিগেজের দল। কলম্বিয়ার কাছে সেমিফাইনালের হারের হতাশার মাঝেই গ্যালারির দর্শকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিয়েছেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। তবে দলের এই অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ড টেরই পাননি কোচ মার্সেলো বিয়েলসা।
 
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হার্ডরক স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। এই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই একজন কম নিয়ে খেলতে হয়েছে কলম্বিয়াকে। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দানিয়েল মুনোজ। তবে জেফারসন লেমার গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লা কাফেরেতরসরা। দীর্ঘ ২৩ বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে কলম্বিয়া।

এদিন ম্যাচ শেষে মাঠের মধ্যেই দুই দলের খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা বিবাদে জড়ায়। তবে দুদলের খেলোয়াড়দের হস্তক্ষেপেই সেই ঝামেলা থেমে যায়। তবে আসল গণ্ডগোলটা বাধে এর কিছুক্ষণ পরেই। ডাগআউটের পাশের সিঁড়ি বেয়ে গ্যালারিতে উঠে যান উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। হলুদ জার্সি পরা কলম্বিয়ান সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান ডারউইন নুনেজ, হোসে মারিয়া হিমিনেজরা।
 
এদিকে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা জানান, আগেই ড্রেসিং রুমে চলে যাওয়ায় এই ঘটনা আঁচ করতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, মাঠে কিছুক্ষণ বাগবিতণ্ডার পর সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। তা দেখেই আমি ড্রেসিং রুমে চলে যাই।' তিনি যোগ করেন, 'আমি মনে করেছিলাম, তারা (ফুটবলাররা) হয়তো সমর্থনের জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভবে সেখানে ঝামেলা বেঁধে গিয়েছিল।'

উরুগুয়ের অধিনায়ক হোসে মারিয়া হিমিনেজ কলম্বিয়ান দর্শকদের পেটানোড় সাফাই গাইতে গিয়ে জানান, গ্যালারিতে থাকা পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতেই ছুটে গিয়েছিলেন তারা। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তিনি গুটিকয়েক দর্শকেরই দায় দেখছেন। এদিনে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা কনমেবল জানিয়েছে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হচ্ছে। কাউকে দায়ী পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।